প্রথমত-

আমরা অনেকেই জেনে না জেনে বা বুঝে না বুঝে অনেক গুনাহ করে থাকি।কিন্তুু  তার চেয়ে আরও বড় অন্যায় করি সেটা হলো গুনাহ করে সবাইকে বলে বেড়াই-



 গুনাহের কথা কাউকে বলতে নেই।আবূ হুরায়রা (রাদিয়াল্লাহু আ'নহু) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছি, ‘‘আমার সকল উম্মত মাফ পাবে, তবে পাপ-প্রকাশকারী ব্যতীত। আর এক প্রকার প্রকাশ এই যে, কোন ব্যক্তি রাতে কোন পাপকাজ করে, যা আল্লাহ গোপন রাখেন। কিন্তু সকাল হলে সে বলে বেড়ায়, ‘হে অমুক! আমি আজ রাতে এই কাজ করেছি।’ অথচ সে এমন অবস্থায় রাত্রি অতিবাহিত করেছিল যে, আল্লাহ তার পাপ ঢেকে রেখেছিলেন। কিন্তু সকালে উঠে তার উপর আল্লাহর আবৃত পর্দা সে খুলে ফেলে!’’ [1]


দ্বিতীয়ত, ঝগড়া/তর্ক করা-


রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:

“যে ব্যক্তি ন্যায়সঙ্গত হওয়া সত্ত্বেও ঝগড়া পরিহার করবে আমি তার জন্য জান্নাতের বেষ্টনীর মধ্যে একটি ঘরের যিম্মাদার; আর যে ব্যক্তি তামাশার ছলেও মিথ্যা বলে না আমি তার জন্য জান্নাতের মাঝখানে একটি ঘরের যিম্মাদার আর যে ব্যক্তি তার চরিত্রকে সৌন্দর্যমন্ডিত করেছে আমি তার জন্য জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থান অবস্থিত একটি ঘরের যিম্মাদার।[2]


ভেবে দেখুন – কি লাভ আরেকজনের সাথে তর্কাতর্কি করে, রাগারাগি করে, নিজের মেজাজ খারাপ করে, যুক্তির উপর যুক্তি তৈরী করে শুধুই এটা প্রমাণ করা যে “আমি সঠিক, তুমি ভুল”?এর মাধ্যমে না পাওয়ার যায় নিজের মনে শান্তি, না করা যায় অন্যের মন জয়।


তারচেয়ে চুপ করে থেকে অন্যের ভুল উপেক্ষা করে। তাকে আল্লাহর জন্য ক্ষমা করে দিয়ে, নিজের জন্য জান্নাতে একটা বাড়ী নির্মান করা কি বুদ্ধিমানের কাজ না?


[বি.দ্র: তাই বলে কেউ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা কে অস্বীকার করার যুক্তি দেখাচ্ছে, নবিজীর (ﷺ) নবুওয়্যাত অস্বীকার করার যুক্তি দেখাচ্ছে, সেখানেও কি আপনি চুপ থাকবেন? না, বরং সেখানে এগুলোর স্বপক্ষে কথা বলা আপনার-আমার 'ঈমানী দায়িত্ব'।মূর্খদের মুখোমুখি হলে কী করতে হবে? কুরআনে আল্লাহ সুন্দর একটা সমাধান দেন। 

“রহমানের বান্দা তারাই, যারা পৃথিবীতে নম্রভাবে চলাফেরা করে এবং তাদের সাথে যখন মূর্খরা কথা বলতে থাকে, তখন তারা বলে- সালাম।”[3]


|| রেফারেন্স ||


[1]সহিহ বুখারি: ৬০৬৯, সহিহ মুসলিম: ৭৬৭৬। 


[2] সুনানে আবু দাউদঃ ৪৮০০, আবু উমামাহ রাঃ হতে বর্ণিত।


[3] সূরা আল-ফুরকান: ২৫:৬৩।